রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: নিজের শাশুড়ির জন্য সরকারি সাইক্লোন শেল্টারের (আশ্রয়কেন্দ্র) একটি কক্ষ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী জেলাধীন রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের এক ভারপ্রাপ্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ মৌডুবী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য। বুধবার বিকাল ৪টায় বাইলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইক্লোন শেল্টারে এ ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে যানা যায়, সুপার সাইক্লোন আম্ফানের কারণে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হলে স্থানীয় জনগণ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে যায়। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ভবন খুলে দিলে সেখানে তোশক বিছিয়ে শাশুড়ি সহ পরিবারের চার-পাঁচজন সদস্যের জন্য একটি কক্ষ দখল করে নেন আবুল কালাম। স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে তিনি ওই কক্ষ তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে মো: ঈসা ভূইয়া ও মশিউর রহমান নামে দুই যুবক ওই কক্ষটি সবার জন্য খুলে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আবুল কালাম মো: ঈসা ভূইয়ার ওপর চড়াও হয়। ধাক্কা ধাক্কির এক পর্যায়ে স্থানীয় জনগণ এগিয়ে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় কয়েকজন তার বিরুদ্ধে দুর্যোড়কালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রের শুকনা খাবারের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাট করেছেন বলেও অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী মো: শফিউদ্দিন জানান, ‘বিদ্যালয়ের ভবনটি দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আমার অবর্তমানে এ ধরণের অবৈধ দখল অত্যন্ত দুঃখজনক।’ এ বিষয়ে মৌডুবী ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান) প্রশাসক মো: মনিরুল ইসলাম বিষয়টি জানতেন না বলে জানান। বলেন, “ওইখানে আমাদের প্রতিনিধি ছিল কিন্তু তারা কেউ আমাকে জানায়নি। আমি এখনই বিষয়টি শুনলাম। তবে কেন এমন হয়েছে আর কেনই বা তাকে জানানো হলো না তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন ইউনিয়ন পরিষদের এই প্রশাসক। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। প্রসঙ্গত, ভারপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য হওয়ার পর জেলেদের ত্রাণের চাল পাইয়ে দেয়ার শর্তে টাকা আদায় করা সহ বিভিন্নভাবে স্থানীয় জনগণকে হয়রানী করেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :