গাংনীর খাসমহলে প্রবাসীর স্ত্রী চামেলীর যত তাণ্ডব


মেহেরপুর নিউজ টোয়েন্টিফোর প্রকাশের সময় : আগস্ট ২, ২০২১, ৫:০৫ অপরাহ্ণ /
গাংনীর খাসমহলে প্রবাসীর স্ত্রী চামেলীর যত তাণ্ডব

খাসমহল প্রতিনিধিঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার খাসমহল গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের পুত্র প্রবাসী মোঃ আলমগীর হোসেন (৩২) এর স্ত্রী ও ২ সন্তানের জননী মোছাঃ চামেলী খাতুন গত ২ মাস যাবত নিখোঁজ হবার অভিযোগ করেছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী । গত ৫৫ দিন আগে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে কোথায় গেছে বা কি ভাবে গেছে সে ব্যপারে কিছুই জানেনা বলে মেহেরপুর বার্তা টোয়েন্টিফোরকে জানিয়েছেন আলমগীরের পরিবার ।

গত ১২ বছর আগে প্রবাসী আলোমগীরের সাথে প্রেমের সম্পর্কের মধ্যদিয়ে একই গ্রামের মোঃ জাবের আলীর মেয়ে চামেলী খাতুন (২৫) এর সাথে বিয়ে হয় । পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারনে বাধ্য হয়েই আলমগীরকে প্রবাসে পাড়ি জমাতে হয় । কিন্তু আলমগীর প্রবাসে যাবার পরে তার স্ত্রী চামেলী উশৃঙ্খল জীবন যাপন শুরু করেন । এরি মাঝে সে গাংনীর বাসবাড়ীয়া গ্রামের সালাম নামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন । তার সাথে প্রেমের আদান প্রদানের ও ভাব বিনিময়ের একটি ভিডিও ফুটেজও সে সময় এলাকাবাসির মাঝে মুঠোফোনমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে । উপায়ন্ত না পেয়ে আলোমগীর দেশে ফিরে এসে তার স্ত্রী চামেলীকে বুঝিয়ে সুজিয়ে পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করেন । সে সময় এলাকার দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে চামেলী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন । কয়েক দিনের ব্যাবধানে সব ঘটনা ধামা চাপা পড়ে যার; পার হয় কিছুটা সময় । এর পরের বছরে শিমুলতলা গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের সাথে সে আবারো প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হন । সবার অজান্তেই সে আলমগীরকে তালাক দিয়ে সাদ্দামকে নিয়ে ঢাকা চলে যান । সাদ্দামের সাথে ৩ মাস সংসার করার পরে তারসাথেও প্রেমের সম্পর্কের ভাটাপড়ে, সম্পর্কের টানাপোড়ার মাঝেই সাদ্দাম কে তালাক দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে আবার আলমগীরের কাছে ভুল শিকার করে তার কাছে ফিরে যাবার চেষ্টা করেন । সে সময় গ্রামের ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি জনাব ইকরামুল হক গ্রাম্য সালিস বৈঠকে ও পারিবারিক সমঝোতার মধ্যদিয়ে পুনরায় তাকে আলমগীরের সাথে বিবাহ দেওয়া হয় । পারিবারিক সূত্রে জানায়, আলমগীর প্রবাসে ফিরে যাবার কিছু দিন যেতেই তার আবার উশৃঙ্খল জীবন যাপন শুরু হয়, সারা রাত ফোনে কথা বলেন, কখনো সখনো বিভিন্ন কৌশলে অন্য কোথাও রাত্রীও যাপন করেন মান সম্মানের কথা চিন্তা করে তার শাশুড়ি মুখ বন্ধ রাখেন । এমনো হয় মাঝে মাঝে অপরিচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে সে সন্ধ্যায় বাড়ি ত্যাগ করে কয়েক দিন পরে আবার বাড়ি ফিরেন । তার শাশুড়ী বলেন, নিখোঁজের কিছুদিন আগে বাড়ির পাশে ব্যটারি চালিত অটো ভ্যানে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তির সাথে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যান চামেলী, একদিন পরে ফিরে এসে তার শাশুড়ি কে জানান, শারীরিক অসুস্ততা জনিত কারনে তাকে তখন বামুন্দী যেতে হয়েছিল; সেখানে সে ভর্তি ছিল । এভাবেই চলে তার জীবন যাপন! সেই ধারাবাহিকতায় এবারও সে ঘর ছাড়া গত ৫৫ দিনের কাছা কাছি । জন প্রতিনিধি জনাব ইকরামুল হক মেহেরপুর বার্তা টোয়েন্টিফোরকে বলেন, তার শাশুড়ি জানিয়েছেন হঠাৎ করেই কাউকে কিছু না জানিয়ে কোথায় গেছে, কার সাথে গিয়েছেন, বা তার পরিস্থিতি কত, সে সম্পর্কে কিছুই তিনি জানেন না, এখনো পর্যন্ত তার নাম্বার গুলো বন্ধ এবং নিজ থেকেও সে কিছু জানান নাই । তার নিখোঁজের পর থেকে স্বামী আলমগীরের সাথেও তার কোন যোগাযোগ নেই এবং ইমু হটসঅ্যাপ বা ফেসবুক থেকেও তাকে ব্লক করেছে বলেও মেহেরপুরবার্তাকে নিশ্চিত করেছে তার শাশুড়ি । তিনি আরো জানান, গ্রামের একাধিক মানুষের সাথে তার অর্থনৈতিক লেনদেন ছিল, এবং অনেকেই অভিযোগ করেছেন চামেলী তাদেরর কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন এবং তা ফেরত না দিয়েই তিনি যোগাযোগ বন্ধ করেছেন। ফলে অনেকেই বিপাকে পড়ে তার শাশুড়ির কাছে টাকা ফেরতের দাবী জানিছে । মেহেরপুরবার্তা টোয়েন্টিফোর চামেলীর সাথে অনেক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় । জানাগেছে তার প্রস্থান কালে কিছু অপরিচিত ব্যক্তির আনাগোনা ছিল । ধারনা করা হচ্ছে হইত তাদের সাথেই সে চলে গেছেন ।এমন উসৃংখল জীবন যাপনে অতিষ্ঠ এলাকাবাসি, তাদের দাবী বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে তাকে খুঁজে বের করে একটা সঠিক সমাধান বের করা, যাতে সবাই অন্তত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে এই নিভৃতি পল্লীতে ।